অনলাইনে ই-পাসপোর্ট আবেদন এর নিয়ম এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সমূহ

বর্তমানে যে কেউ ঘরে বসেই অনলাইনে মোবাইল অথবা কম্পিউটার দিয়ে ই-পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে, আবেদন করার পূর্বে প্রয়োজনীয় তথ্য, অনলাইনে ই-পাসপোর্ট আবেদন এর নিয়ম, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সমূহ, পাসপোর্ট করতে যা যা কাগজপত্রের দরকার হয় এবং খরচ কত এ সম্পর্কে জানা জরুরি। এছাড়াও, একটি ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে একবারই ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করা যায়।

ই-পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে

ই-পাসপোর্ট আবেদন করার পূর্বে আগে জানতে হবে যে ই-পাসপোর্ট করতে যা যা প্রয়োজন। খুব অল্প ডকুমেন্টস দিয়ে অনলাইনে ই-পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে পারবেন।
বিস্তারিত জানুন- ই-পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে

অনলাইনে ই-পাসপোর্ট আবেদন এর নিয়ম:

ধাপ-১:

• বাংলাদেশ ই-পাসপোর্ট অনলাইন পোর্টালে (epassport.gov.bd) গিয়ে
• Apply Online for e‑Passport – এ ক্লিক করুন।
• আপনার বর্তমান ঠিকানার জেলা শহর এবং থানার নাম নির্বাচন করে ক্লিক করুন।

ধাপ-২:

• নির্দেশাবলী অনুযায়ী ই-পাসপোর্ট ফর্ম সাবধানে পূরণ করুন।
• আপনার সমস্ত ব্যক্তিগত তথ্য সঠিকভাবে দিয়েছেন কি না তা নিশ্চিত করুন।
• ফর্মটি পূরণ করার হলে “Submit” এ ক্লিক করুন।

ধাপ-৩:

• ই-পাসপোর্ট আবেদন সফলভাবে সাবমিট করার পর, ২টি পিডিএফ ডাউনলোড করে প্রিন্ট করতে হবে।
• 1) Application Summery
• 2) Online Registration Form
• আপনার পছন্দের মেয়াদকাল এবং পাসপোর্ট পৃষ্ঠার সংখ্যা অনুযায়ী পাসপোর্ট ফি প্রদান করুন।
• আপনি চাইলে বিকাশ বা যেকোনো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে A Challan এর মাধ্যমে পাসপোর্ট আবেদন ফি জমা দিতে পারেন।

ধাপ-৪:

• আপনার সমস্ত তথ্য পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সার্ভারে আপলোড করা হবে।
• আবেদনের শেষে আপনাকে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে জমা দেওয়ার জন্য নিম্নলিখিত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং সাথে একটি ফর্ম দেওয়া হবে।

e-passport Application Form PDF

আবেদন ফর্মটি ডাউনলোড করতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন

Link: Application Form

ই-পাসপোর্ট করতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সমূহ:

1. অনলাইনে পাসপোর্ট আবেদন ফরমের প্রিন্ট কপি
2. পাসপোর্ট ফি পরিশোধের রিসিট
3. ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি
4. ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধনের ফটোকপি
5. পুরাতন পাসপোর্টের কপি (যদি থাকে)
6. বিদ্যুৎ বিলের কপি (আপনি যেখানে থাকেন)
7. গ্যাস বিল
8. পানি বিল
9. সিটি কর্পোরেশনের হোল্ডিং ট্যাক্স রসিদ
10. ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের সনদ
11. সাম্প্রতিক পাসপোর্ট সাইজের ২ কপি ছবি (সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড)

অপ্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে:

• জন্ম নিবন্ধন সনদের ফটোকপি
• পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি

উল্লেখিত সকল কাগজপত্রের মূল কপি সাথে নিয়ে যাবেন।

কাগজপত্র নিয়ে যাওয়ার পর আপনার বায়োমেট্রিক তথ্য প্রদানের জন্য আপনাকে সিরিয়ালভাবে অপেক্ষা করতে হবে। বায়োমেট্রিক তথ্য প্রদান করার পর আপনাকে একটি পাসপোর্ট ডেলিভারি স্লিপ প্রদান করা হবে, যা আপনি পাসপোর্ট পাওয়ার সময় প্রয়োজন হবে।

আবেদন প্রক্রিয়া সঠিকভাবে সম্পন্ন হলে- আপনার পাসপোর্ট প্রক্রিয়াকরণে যাবে, তারপরে পুলিশ ভেরিফিকেশন, পাসপোর্ট আরও যাচাইকরণ এর পর আপনার পাসপোর্ট প্রিন্ট করা হবে। সবশেষে আপনার পাসপোর্ট আপনার নির্ধারিত আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে পৌঁছে দেওয়া হবে। আপনার পাসপোর্ট বিতরণ করা হয়েছে কিনা বা আপনি অনলাইনে আপনার পাসপোর্টের স্ট্যাটাস চেক করতে পারেন। এর পরে আপনি আপনার পাসপোর্ট ডেলিভারি স্লিপ জমা দিয়ে আপনার পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে পারবেন।

আরও দেখুন:

অনলাইনে ই-পাসপোর্ট রিনিউ করার নিয়ম এবং খরচ কত

ই-পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে ও খরচ কত টাকা