You are currently viewing হাইপোথাইরয়েডিজম ও গর্ভধারণ: সম্ভাব্য সমস্যা ও সমাধান

হাইপোথাইরয়েডিজম ও গর্ভধারণ: সম্ভাব্য সমস্যা ও সমাধান

  • Post author:
  • Post last modified:May 17, 2025
  • Post category:Blog

হাইপোথাইরয়েডিজম ও গর্ভধারণ: সম্ভাব্য সমস্যা ও সমাধানহাইপোথাইরয়েডিজম গর্ভধারণে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে এবং গর্ভাবস্থায় জটিলতা বাড়ায়। তবে সঠিক চিকিৎসা ও নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সুস্থ গর্ভধারণ সম্ভব।

কীভাবে হাইপোথাইরয়েডিজম গর্ভধারণে বাধা সৃষ্টি করে?

১. অনিয়মিত ঋতুস্রাব (Irregular Periods)

  • থাইরয়েড হরমোনের অভাবে ডিম্বস্ফোটন (Ovulation) বাধাগ্রস্ত হয়।
  • ফলে প্রজনন ক্ষমতা কমে যায় (Infertility)।

২. গর্ভপাতের ঝুঁকি (Miscarriage Risk)

  • অনিয়ন্ত্রিত হাইপোথাইরয়েডিজমে প্রথম ত্রৈমাসিকে গর্ভপাতের সম্ভাবনা বাড়ে।

৩. গর্ভস্থ শিশুর বিকাশে সমস্যা

  • থাইরয়েড হরমোন ফিটাল ব্রেইন ডেভেলপমেন্টের জন্য অপরিহার্য।
  • হাইপোথাইরয়েডিজম থাকলে শিশুর বুদ্ধিমত্তা ও শারীরিক বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হতে পারে।

৪. অন্যান্য জটিলতা

  • প্রিক্ল্যাম্পসিয়া (উচ্চ রক্তচাপ ও প্রোটিনিউরিয়া)।
  • অ্যানিমিয়াপ্রিম্যাচিউর ডেলিভারি

গর্ভধারণের আগে ও সময়ে করণীয়

১. থাইরয়েড টেস্ট (TSH, Free T4)

  • গর্ভধারণের আগেই TSH লেভেল চেক করুন।
  • আদর্শ TSH মাত্রা:
    • সাধারণ মহিলা: ০.৪–৪.০ mIU/L
    • গর্ভধারণের সময়: < ২.৫ mIU/L (প্রথম ত্রৈমাসিকে)

২. ওষুধের ডোজ সামঞ্জস্য করা

  • লেভোথাইরোক্সিনের ডোজ গর্ভাবস্থায় ২৫–৫০% বাড়াতে হতে পারে।
  • গর্ভধারণের পরই ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।

৩. নিয়মিত মনিটরিং

  • প্রতি ৪–৬ সপ্তাহে TSH টেস্ট করুন।

৪. পুষ্টিকর খাবার

  • আয়োডিন: সামুদ্রিক মাছ, আয়োডিনযুক্ত লবণ।
  • আয়রন ও ফোলিক অ্যাসিড: পালং শাক, ডাল, ডিম।
  • সেলেনিয়াম: বাদাম, ডিম।

গর্ভাবস্থায় হাইপোথাইরয়েডিজমের লক্ষণ

  • অতিরিক্ত ক্লান্তি বা ওজন বৃদ্ধি
  • ঠান্ডা লাগা বা কোষ্ঠকাঠিন্য
  • ডিপ্রেশন বা মস্তিষ্কের কাজে ধীরগতি

সতর্কতা

  • স্ব-চিকিৎসা নয়: ওষুধের ডোজ নিজে পরিবর্তন করবেন না।
  • ডাক্তারের পরামর্শে সাপ্লিমেন্ট (আয়রন/ক্যালসিয়াম) নিন (লেভোথাইরোক্সিনের সাথে অন্তত ৪ ঘণ্টা ব্যবধান রাখুন)।

শেষ কথাঃ

হাইপোথাইরয়েডিজম নিয়ন্ত্রণে রাখলে সুস্থ গর্ভধারণসুস্থ শিশুর জন্ম সম্ভব। গর্ভধারণের পরিকল্পনা থাকলে আগেই থাইরয়েড ফাংশন টেস্ট করান এবং একজন এন্ডোক্রিনোলজিস্ট বা গাইনোকোলজিস্ট-এর সাথে পরামর্শ করুন।