You are currently viewing হাইপোথাইরয়েডিজমের জন্য ডায়েট চার্ট

হাইপোথাইরয়েডিজমের জন্য ডায়েট চার্ট

হাইপোথাইরয়েডিজমের জন্য ডায়েট চার্ট(Diet Chart)– হাইপোথাইরয়েডিজমে আক্রান্ত রোগীদের মেটাবলিজম ধীর গতির হয়, তাই সঠিক ডায়েট মেনে চললে ওজন নিয়ন্ত্রণ, শক্তি বৃদ্ধি এবং হরমোনাল ব্যালেন্স ঠিক রাখা যায়। নিচে একটি সহজ ও কার্যকরী ডায়েট প্ল্যান দেওয়া হলো:

সকালের নাস্তা (৮:০০-৯:০০ AM)

  • ১ গ্লাস উষ্ণ পানি + লেবুর রস (ডিটক্সের জন্য)
  • ২টি ডিমের সাদা অংশ (সিদ্ধ বা অমলেট)
  • ১ টুকরো ব্রাউন ব্রেড বা ওটস
  • ১ কাপ গ্রিন টি (চিনি ছাড়া)

বিকল্প:

  • মুগ ডালের খিচুড়ি + শসা/টমেটো

মধ্য সকালের নাস্তা (১১:০০ AM)

  • ১ মুঠো কাঁচা বাদাম (আমন্ড, আখরোট)
  • ১টি ফল (আপেল, পেয়ারা, নাশপাতি)

দুপুরের খাবার (২:০০ PM)

  • ১ কাপ ব্রাউন রাইস বা রুটি (গমের আটার)
  • ১ টুকরো মাছ/মুরগি/ডাল (প্রোটিনের জন্য)
  • ১ বাটি সবজি (পালং শাক, লাউ, মিষ্টি কুমড়া)
  • ১ কাপ টক দই (প্রোবায়োটিক্সের জন্য)

বিকল্প:

  • মিক্সড ডাল + শাকসবজি + সালাদ

বিকালের নাস্তা (৫:০০ PM)

  • ১ কাপ গ্রিন টি বা হার্বাল টি
  • ১ মুঠো ছোলা বা মুড়ি

বিকল্প:

  • স্প্রাউটস সালাদ

রাতের খাবার (৮:০০-৯:00 PM)

  • ১ কাপ ভাত/রুটি (অল্প পরিমাণে)
  • ১ বাটি সবজি (ব্রোকোলি, গাজর, ফুলকপি)
  • ১ বাটি ডাল বা মাছ/মুরগির স্যুপ

বিকল্প:

  • মুরগির স্টিউ + সালাদ

শোবার আগে (১০:৩০ PM)

  • ১ গ্লাস গরম দুধ (হালুদ বা দারুচিনি মিশিয়ে)

কোন খাবারগুলি এড়িয়ে চলবেন?

গয়ট্রোজেনিক ফুড (অতিরিক্ত খেলে থাইরয়েডের সমস্যা বাড়ে):

  • কাঁচা পেঁয়াজ, বাঁধাকপি, ফুলকপি, ব্রোকোলি, সয়াবিন।
  • প্রক্রিয়াজাত খাবার (প্যাকেটজাত জাঙ্ক ফুড)।
  • চিনি ও মিষ্টি (মেটাবলিজম আরও ধীর করে)।
  • ক্যাফেইন ও অ্যালকোহল (হরমোনের ব্যালেন্স নষ্ট করে)।

কোন খাবারগুলি বেশি খাবেন?

আয়োডিন সমৃদ্ধ খাবার: সামুদ্রিক মাছ, আয়োডিনযুক্ত লবণ।
সেলেনিয়াম সমৃদ্ধ খাবার: ব্রাজিল নাট, ডিম, মুরগি।
জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাবার: কুমড়ার বীজ, মসুর ডাল।
ফাইবার: ওটস, শাকসবজি, ফল।

মনে রাখবেন:

পর্যাপ্ত পানি পান করুন (দিনে ৮-১০ গ্লাস)।

সকালে খালি পেটে থাইরয়েড ওষুধ নিন (খাবারের ৩০-৬০ মিনিট আগে)।

নিয়মিত ব্যায়াম করুন (হাঁটা, যোগব্যায়াম, সাঁতার)।

এই ডায়েট প্ল্যান মেনে চললে হাইপোথাইরয়েডিজমের লক্ষণগুলি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। তবে, চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ ও লাইফস্টাইল ম্যানেজমেন্ট জরুরি।