You are currently viewing ই-পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে ও খরচ কত টাকা

ই-পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে ও খরচ কত টাকা

  • Post author:
  • Post last modified:December 22, 2024
  • Post category:How To..

বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করবেন কিন্তু জানেন না বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট পেতে কী কী কাগজপত্র প্রয়োজন? জেনে নিন তাহলে ৫ বা ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে ও খরচ কত টাকা।

বর্তমানে দালাল ছাড়াই আপনি নিজেই ঘরে বসে অনলাইন এর মাধ্যমে ই-পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। ভোটার আইডি কার্ড বা জন্ম নিবন্ধন সনদ দিয়ে সহজেই পাসপোর্টের আবেদন করা যায়। সাধারণত পাসপোর্টের ধরন অনুযায়ী ডকুমেন্ট আলাদা হয়।

ই-পাসপোর্টের প্রকারভেদ:
  • শিশুদের পাসপোর্ট
  • প্রাপ্তবয়স্কদের পাসপোর্ট
  • সরকারি চাকরিজীবীদের পাসপোর্ট

ই-পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে

পাসপোর্ট অধিদপ্তর, ২০২২ এর নির্দেশ অনুসারে- প্রাপ্তবয়স্কের ই-পাসপোর্টের আবেদন করার জন্য আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র/স্মার্ট কার্ড বা জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রয়োজন এবং ছবি জমা দিতে হবে।
যাদের বয়স ২০ বছরের কম, তাদের অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ এর সাথে পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি ও ছবি জমা দিতে হবে।
আর সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছাড়া NOC (No Objection Certificate) এবং GO (Government Order) প্রয়োজন।
অনলাইনে পাসপোর্ট আবেদন ফি পরিশোধ করার পর তার চালান রশিদ ও 3R Size এর ছবি প্রয়োজন।

প্রাপ্তবয়স্কদের ই-পাসপোর্ট করতে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট:

সাধারণত যাদের ভোটার আইডি কার্ড আছে তাদেরকে প্রাপ্তবয়স্ক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ভোটার আইডি কার্ড আবশ্যক। তাছাড়া, প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য পিতা-মাতার ডকুমেন্টস প্রয়োজন নেই।

  1. ভোটার আইডি কার্ড তথা NID কার্ডের কপি
  2. অনলাইন আবেদন Summary
  3. অনলাইন আবেদনের কপি
  4. পাসপোর্ট ফি পরিশোধের চালান/ব্যাংক ড্রাফ
  5. আবেদনকারী স্টুডেন্ট হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক স্টুডেন্ট আইডি কার্ড বা সার্টিফিকেট
  6. পিতা-মাতার ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি (Optional)
  7. বিবাহিত হলে নিকাহনামা

শিশুদের ই-পাসপোর্ট করতে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট:

শিশুদের ই-পাসপোর্ট আবেদন করতে অবশ্যই পিতা-মাতার ভোটার আইডি কার্ডের কপি অথবা অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদপত্র প্রয়োজন হবে। যেহেতু শিশুর (২০ বছরের নিচে) ভোটার আইডি কার্ড নেই, সেহেতু পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি ও ছবি জমা দিতে হবে।

তবে যাদের বয়স ১৮ বছরের উপরে এবং ভোটার আইডি কার্ড আছে, তারা গার্ডিয়ানের ডকুমেন্টস ছাড়াই ই-পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে পারবে।

  1. শিশুর অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ
  2. পিতা-মাতার ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি (বাধ্যতামুলক)
  3. অনলাইন আবেদন Summary
  4. অনলাইন আবেদনের কপি
  5. পাসপোর্ট ফি পরিশোধের চালান/ব্যাংক ড্রাফ
  6. টিকা কার্ড (প্রয়োজনের ক্ষেত্রে)
  7. 3R Size Photo (বাধ্যতামুলক)

সরকারি চাকরিজীবীদের ই-পাসপোর্ট করতে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট:

সাধারণ নাগরিকদের থেকে সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য (NOC এবং GO)এই ২টি ডকুমেন্ট বেশি প্রয়োজন।

  1. ভোটার আইডি কার্ড তথা NID কার্ডের কপি
  2. নাগরিক সনদপত্র
  3. অনলাইনে আবেদন Summary
  4. অনলাইন আবেদনের কপি
  5. ইউটিলিটি বিলের কাগজ
  6. বিবাহিত হলে নিকাহনামা
  7. NOC (No Objection Certificate)
  8. GO (Government Order)

NOC (No Objection Certificate): সরকারি কর্মকর্তা ব্যক্তিগত কাজে বিদেশে যাওয়ার জন্য পাসপোর্ট আবেদন করলে তার বিভাগ, অধিদপ্তর বা মন্ত্রণালয় থেকে NOC সংগ্রহ করতে হয়।

GO (Government Order): সরকারি বা রাষ্ট্রীয় কাজে দেশের বাইরে যাওয়ার জন্য সরকারি আদেশের প্রয়োজন। তখন GO ডকুমেন্ট দাখিল করতে হয়।

ই-পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে

ই-পাসপোর্ট তৈরি করার জন্য, আপনাকে অবশ্যই পাসপোর্ট ফি সংক্রান্ত তথ্য জানতে হবে, অন্যথায় আপনি দালালদের খপ্পরে পড়ে আরও বেশি অর্থ নষ্ট করবেন। আর দালালদের থেকে অবশ্যই দূরে থাকুন।

৫ বছর মেয়াদি-

পেইজ সংখ্যা৪৮ পেইজ৬৪ পেইজ
রেগুলার ফি (২১ কর্মদিবস)৪,০২৫ টাকা৬,৩২৫ টাকা
জরুরী ফি (১০ কর্মদিবস)৬,৩২৫ টাকা৮,৬২৫ টাকা
অতিব জরুরী ফি (২ কর্মদিবস)৮,৬২৫ টাকা১২,০৭৫ টাকা
পাসপোর্ট করতে খরচ

১০ বছর মেয়াদি-

পেইজ সংখ্যা৪৮ পেইজ৬৪ পেইজ
রেগুলার ফি (২১ কর্মদিবস)৫,৭৫০ টাকা৮,০৫০  টাকা
জরুরী ফি (১০ কর্মদিবস)৮,০৫০ টাকা১০,৩৫০টাকা
অতিব জরুরী ফি (২ কর্মদিবস)১০,৩৫০ টাকা১৩,৮০০ টাকা
পাসপোর্ট করতে খরচ

১৮ বছরের কম এবং ৬৫ বছরের বেশি বয়সী আবেদনকারীরা শুধুমাত্র ৫ বছরের মেয়াদি ই-পাসপোর্ট পাবেন। জরুরী আবেদনের ক্ষেত্রে পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে।

আরও দেখুন: