বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করবেন কিন্তু জানেন না বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট পেতে কী কী কাগজপত্র প্রয়োজন? জেনে নিন তাহলে ৫ বা ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে ও খরচ কত টাকা।
বর্তমানে দালাল ছাড়াই আপনি নিজেই ঘরে বসে অনলাইন এর মাধ্যমে ই-পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। ভোটার আইডি কার্ড বা জন্ম নিবন্ধন সনদ দিয়ে সহজেই পাসপোর্টের আবেদন করা যায়। সাধারণত পাসপোর্টের ধরন অনুযায়ী ডকুমেন্ট আলাদা হয়।
ই-পাসপোর্টের প্রকারভেদ:
- শিশুদের পাসপোর্ট
- প্রাপ্তবয়স্কদের পাসপোর্ট
- সরকারি চাকরিজীবীদের পাসপোর্ট
ই-পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে
পাসপোর্ট অধিদপ্তর, ২০২২ এর নির্দেশ অনুসারে- প্রাপ্তবয়স্কের ই-পাসপোর্টের আবেদন করার জন্য আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র/স্মার্ট কার্ড বা জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রয়োজন এবং ছবি জমা দিতে হবে।
যাদের বয়স ২০ বছরের কম, তাদের অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ এর সাথে পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি ও ছবি জমা দিতে হবে।
আর সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছাড়া NOC (No Objection Certificate) এবং GO (Government Order) প্রয়োজন।
অনলাইনে পাসপোর্ট আবেদন ফি পরিশোধ করার পর তার চালান রশিদ ও 3R Size এর ছবি প্রয়োজন।
প্রাপ্তবয়স্কদের ই-পাসপোর্ট করতে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট:
সাধারণত যাদের ভোটার আইডি কার্ড আছে তাদেরকে প্রাপ্তবয়স্ক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ভোটার আইডি কার্ড আবশ্যক। তাছাড়া, প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য পিতা-মাতার ডকুমেন্টস প্রয়োজন নেই।
- ভোটার আইডি কার্ড তথা NID কার্ডের কপি
- অনলাইন আবেদন Summary
- অনলাইন আবেদনের কপি
- পাসপোর্ট ফি পরিশোধের চালান/ব্যাংক ড্রাফ
- আবেদনকারী স্টুডেন্ট হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক স্টুডেন্ট আইডি কার্ড বা সার্টিফিকেট
- পিতা-মাতার ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি (Optional)
- বিবাহিত হলে নিকাহনামা
শিশুদের ই-পাসপোর্ট করতে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট:
শিশুদের ই-পাসপোর্ট আবেদন করতে অবশ্যই পিতা-মাতার ভোটার আইডি কার্ডের কপি অথবা অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদপত্র প্রয়োজন হবে। যেহেতু শিশুর (২০ বছরের নিচে) ভোটার আইডি কার্ড নেই, সেহেতু পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি ও ছবি জমা দিতে হবে।
তবে যাদের বয়স ১৮ বছরের উপরে এবং ভোটার আইডি কার্ড আছে, তারা গার্ডিয়ানের ডকুমেন্টস ছাড়াই ই-পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে পারবে।
- শিশুর অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ
- পিতা-মাতার ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি (বাধ্যতামুলক)
- অনলাইন আবেদন Summary
- অনলাইন আবেদনের কপি
- পাসপোর্ট ফি পরিশোধের চালান/ব্যাংক ড্রাফ
- টিকা কার্ড (প্রয়োজনের ক্ষেত্রে)
- 3R Size Photo (বাধ্যতামুলক)
সরকারি চাকরিজীবীদের ই-পাসপোর্ট করতে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট:
সাধারণ নাগরিকদের থেকে সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য (NOC এবং GO)এই ২টি ডকুমেন্ট বেশি প্রয়োজন।
- ভোটার আইডি কার্ড তথা NID কার্ডের কপি
- নাগরিক সনদপত্র
- অনলাইনে আবেদন Summary
- অনলাইন আবেদনের কপি
- ইউটিলিটি বিলের কাগজ
- বিবাহিত হলে নিকাহনামা
- NOC (No Objection Certificate)
- GO (Government Order)
NOC (No Objection Certificate): সরকারি কর্মকর্তা ব্যক্তিগত কাজে বিদেশে যাওয়ার জন্য পাসপোর্ট আবেদন করলে তার বিভাগ, অধিদপ্তর বা মন্ত্রণালয় থেকে NOC সংগ্রহ করতে হয়।
GO (Government Order): সরকারি বা রাষ্ট্রীয় কাজে দেশের বাইরে যাওয়ার জন্য সরকারি আদেশের প্রয়োজন। তখন GO ডকুমেন্ট দাখিল করতে হয়।
ই-পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে
ই-পাসপোর্ট তৈরি করার জন্য, আপনাকে অবশ্যই পাসপোর্ট ফি সংক্রান্ত তথ্য জানতে হবে, অন্যথায় আপনি দালালদের খপ্পরে পড়ে আরও বেশি অর্থ নষ্ট করবেন। আর দালালদের থেকে অবশ্যই দূরে থাকুন।
৫ বছর মেয়াদি-
পেইজ সংখ্যা | ৪৮ পেইজ | ৬৪ পেইজ |
রেগুলার ফি (২১ কর্মদিবস) | ৪,০২৫ টাকা | ৬,৩২৫ টাকা |
জরুরী ফি (১০ কর্মদিবস) | ৬,৩২৫ টাকা | ৮,৬২৫ টাকা |
অতিব জরুরী ফি (২ কর্মদিবস) | ৮,৬২৫ টাকা | ১২,০৭৫ টাকা |
১০ বছর মেয়াদি-
পেইজ সংখ্যা | ৪৮ পেইজ | ৬৪ পেইজ |
রেগুলার ফি (২১ কর্মদিবস) | ৫,৭৫০ টাকা | ৮,০৫০ টাকা |
জরুরী ফি (১০ কর্মদিবস) | ৮,০৫০ টাকা | ১০,৩৫০টাকা |
অতিব জরুরী ফি (২ কর্মদিবস) | ১০,৩৫০ টাকা | ১৩,৮০০ টাকা |
১৮ বছরের কম এবং ৬৫ বছরের বেশি বয়সী আবেদনকারীরা শুধুমাত্র ৫ বছরের মেয়াদি ই-পাসপোর্ট পাবেন। জরুরী আবেদনের ক্ষেত্রে পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে।
আরও দেখুন:
Follow Us
See More:
- Blog (6)
- How To.. (25)
- ই-পাসপোর্ট (1)
- জন্ম নিবন্ধন (4)
- চাকরি (7)
- বেসরকারি চাকরি (1)
- সরকারি চাকরি (7)
- জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় (4)
- পিডিএফ বই (11)
- ১ম – ৮ম শ্রেণি (3)
- ভর্তি সংক্রান্ত (5)
- কলেজ ভর্তি (1)
- বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি (3)
- শিক্ষা (11)
- স্কিল শেয়ার (12)
- ডিজিটাল মার্কেটিং (10)