PCOS কী?
পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম (PCOS) একটি হরমোনজনিত সমস্যা, যা প্রজননক্ষম বয়সের মহিলাদের মধ্যে সাধারণ। এই সমস্যায় ডিম্বাশয় (ovaries) সঠিকভাবে কাজ করে না, যার ফলে মাসিক অনিয়ম, অতিরিক্ত পুরুষ হরমোন (androgen) এবং ডিম্বাশয়ে ছোট ছোট সিস্ট তৈরি হয়।
⚠️ PCOS-এর প্রধান উপসর্গ:
- অনিয়মিত মাসিক চক্র:
- মাসিক দেরিতে হওয়া, অনিয়মিত হওয়া বা বন্ধ হয়ে যাওয়া।
- মাসিক দেরিতে হওয়া, অনিয়মিত হওয়া বা বন্ধ হয়ে যাওয়া।
- অতিরিক্ত পুরুষ হরমোন:
- মুখে বা শরীরে অতিরিক্ত লোম (hirsutism)
- ব্রণ
- মাথার চুল পাতলা হয়ে পড়া
- মুখে বা শরীরে অতিরিক্ত লোম (hirsutism)
- পলিসিস্টিক ওভারি:
- ডিম্বাশয়ে একাধিক ছোট ফোলিকল বা সিস্ট থাকে, যা স্বাভাবিকভাবে ডিম্বাণু তৈরি বা রিলিজ করতে ব্যর্থ হয়।
- ডিম্বাশয়ে একাধিক ছোট ফোলিকল বা সিস্ট থাকে, যা স্বাভাবিকভাবে ডিম্বাণু তৈরি বা রিলিজ করতে ব্যর্থ হয়।
🧬 PCOS-এর কারণ কী?
PCOS-এর নির্দিষ্ট কারণ এখনো জানা যায়নি, তবে কয়েকটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে:
- ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স:
শরীর ইনসুলিন ব্যবহার করতে ব্যর্থ হলে রক্তে ইনসুলিন বেড়ে যায়, যা শরীরে বেশি অ্যান্ড্রোজেন তৈরি করে। - হরমোনের ভারসাম্যহীনতা:
LH হরমোন বেশি, FSH কম, টেস্টোস্টেরন ও ইনসুলিন বেড়ে যায়। - জেনেটিক/বংশগত কারণ:
পরিবারে কারো থাকলে ঝুঁকি বেড়ে যায়।
🧪 কিভাবে PCOS নির্ণয় করা হয়?
নিচের যেকোনো ২টি লক্ষণ থাকলে সাধারণত ডাক্তাররা PCOS নির্ণয় করেন:
- অনিয়মিত বা অনুপস্থিত মাসিক
- শরীরে অতিরিক্ত পুরুষ হরমোনের লক্ষণ (ব্রণ, লোম)
- আল্ট্রাসাউন্ডে পলিসিস্টিক ডিম্বাশয় দেখা গেলে
🩺 PCOS-এর জটিলতা বা ঝুঁকি:
PCOS নিয়ন্ত্রণ না করলে হতে পারে:
- টাইপ ২ ডায়াবেটিস
- উচ্চ রক্তচাপ
- বন্ধ্যত্ব
- হৃদরোগ
- গর্ভধারণে জটিলতা
- মেজাজ খারাপ, বিষণ্ণতা
- ইউটেরিন ক্যান্সার
💊 চিকিৎসা ও নিয়ন্ত্রণ:
PCOS-এর নির্দিষ্ট চিকিৎসা না থাকলেও নিয়ন্ত্রণ সম্ভব:
- লাইফস্টাইল পরিবর্তন:
- ওজন কমানো (৫-১০% ওজন কমালেই উপকার)
- স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস
- নিয়মিত ব্যায়াম
- ওজন কমানো (৫-১০% ওজন কমালেই উপকার)
- ঔষধ:
- পিল (মাসিক নিয়মিত করতে ও হরমোন নিয়ন্ত্রণে)
- মেটফর্মিন (ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়াতে)
- বন্ধ্যাত্ব চিকিৎসায় ক্লোমিফেন বা লেট্রোজল
- অতিরিক্ত লোম বা ব্রণের জন্য স্পিরোনোল্যাকটোন
- পিল (মাসিক নিয়মিত করতে ও হরমোন নিয়ন্ত্রণে)
🌿 প্রাকৃতিকভাবে নিয়ন্ত্রণের কিছু টিপস:
- মিষ্টি ও প্রসেসড খাবার এড়িয়ে চলুন
- উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাবার খান (সবজি, ফল, ডাল)
- পর্যাপ্ত ঘুম (৭-৮ ঘণ্টা)
- স্ট্রেস কমান (যোগব্যায়াম, মেডিটেশন)
- মাসিক চক্র ও লক্ষণ ট্র্যাক করুন