You are currently viewing সোরিয়াসিস রোগীর খাবার তালিকা

সোরিয়াসিস রোগীর খাবার তালিকা

সোরিয়াসিস রোগীর খাবার তালিকা- সোরিয়াসিস একটি অটোইমিউন প্রদাহজনিত রোগ, যেখানে খাদ্যাভ্যাস সরাসরি লক্ষণের তীব্রতা প্রভাবিত করতে পারে। নিচে প্রমাণভিত্তিক খাবার তালিকা দেওয়া হলো:

১. অবশ্যই খাবেন (Anti-inflammatory Foods)

ক) অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ:

  • রঙিন শাকসবজি: পালং শাক, ব্রকলি, গাজর, বিটরুট
  • বেরি: স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি, কালোজাম (কোয়েরসেটিন সমৃদ্ধ)
  • গ্রিন টি: দিনে ২ কাপ (EGCG প্রদাহ কমায়)

খ) ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড:

  • সামুদ্রিক মাছ: স্যালমন, ম্যাকারেল, সার্ডিন (সপ্তাহে ৩ বার)
  • বীজ: ফ্লাক্সসিড, চিয়া সিড, আখরোট
  • সয়াবিন তেল: রান্নায় ব্যবহার

গ) প্রোবায়োটিক ও জিঙ্ক সমৃদ্ধ:

  • দই/কেফির: প্রোবায়োটিক ব্যাকটেরিয়া অন্ত্রের স্বাস্থ্য উন্নত করে
  • মাশরুম: জিঙ্কের ভালো উৎস

ঘ) ভিটামিন-ডি সমৃদ্ধ:

  • ডিমের কুসুম, ফর্টিফাইড দুধ, মাশরুম

২. এড়িয়ে চলুন (প্রদাহ বাড়ায় এমন খাবার)

ক) গ্লুটেনযুক্ত খাবার:

  • গম, বার্লি, রাই (সিলিয়াক রোগীদের ৮০% সোরিয়াসিস বাড়ে)
  • বিকল্প: বাজরা, কিনোয়া, চাল

খ) নাইটশেড পরিবারের সবজি:

  • টমেটো, বেগুন, আলু, ক্যাপসিকাম (সোলানিন প্রদাহ বাড়ায়)

গ) প্রক্রিয়াজাত খাবার:

  • প্যাকেটজাত জুস, বেকারি আইটেম, ফাস্ট ফুড (ট্রান্স ফ্যাট)

ঘ) অ্যালকোহল ও ক্যাফেইন:

  • বিয়ার (গ্লুটেন থাকে), রেড ওয়াইন (হিস্টামিন বাড়ায়)

৩. সাপ্লিমেন্টস (ডাক্তারের পরামর্শে)

সাপ্লিমেন্টউপকারিতাডোজ
ওমেগা-৩প্রদাহ কমায়1000-2000 mg/day
ভিটামিন ডিইমিউন মডুলেশন2000-5000 IU/day
কার্কিউমিনঅ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি500 mg ২ বার/দিন
প্রোবায়োটিকগাট হেলথ10-20 বিলিয়ন CFU

৪. সকাল থেকে রাতের নমুনা ডায়েট প্ল্যান

সকাল ৭:৩০:

  • ওটমিল (বাদাম ও ব্লুবেরি সহ) + গ্রিন টি

সকাল ১১:০০:

  • ১ মুঠি কাঁচা আমন্ড

দুপুর ১:৩০:

  • বাদামি চালের ভাত + স্যালমন মাছ + পালং শাক ভাজি + দই

বিকাল ৪:০০:

  • অ্যাভোকাডো স্মুদি

রাত ৮:০০:

  • মিক্সড ভেজিটেবল স্যুপ + কিনোয়া খিচুড়ি

রাত ১০:৩০:

  • হলুদ দুধ (গরম দুধ + ১/৪ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো)

৫. গবেষণায় প্রমাণিত ডায়েটারি টিপস

  1. মেডিটেরানিয়ান ডায়েট অনুসরণ করুন:
    • এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল, মাছ, শাকসবজি (৩ মাসে ৫০% লক্ষণ কমায়)
  2. ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং:
    • ১৬:৮ পদ্ধতি (সন্ধ্যা ৭টা থেকে সকাল ১১টা না খাওয়া)
  3. হাইড্রেশন:
    • দিনে ৩ লিটার পানি + ডাবের পানি

৬. বিশেষ সতর্কতা

  • ফুড অ্যালার্জি টেস্ট করুন: কিছু রোগীর ডেইরি/গ্লুটেনে অ্যালার্জি থাকে
  • ধূমপান সম্পূর্ণ বন্ধ করুন (নিকোটিন প্লাক সোরিয়াসিস বাড়ায়)

গবেষণা ডেটা: ২০২৩-এর এক স্টাডিতে দেখা গেছে, ওমেগা-৩ + গ্লুটেনফ্রি ডায়েট ৬৮% রোগীর PASI স্কোর ৫০% কমিয়েছে।

পরামর্শ: একজন নিউট্রিশনিস্ট বা ডার্মাটোলজিস্ট-এর সাথে কাস্টমাইজড ডায়েট প্ল্যান তৈরি করুন। খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের ৪-৬ সপ্তাহের মধ্যে ফলাফল দেখা শুরু হবে।