রিকেটস রোগ ভালো হতে পারে —রিকেটস রোগ সাধারণত সঠিক চিকিৎসা ও পুষ্টির মাধ্যমে সম্পূর্ণভাবে ভালো হয়! 😊 তবে এটি নির্ভর করে রোগের তীব্রতা, সময়মতো চিকিৎসা শুরু করা এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টির ঘাটতি পূরণের উপর।
কীভাবে রিকেটস ভালো হয়?
- ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট:
- ডাক্তারের পরামর্শে ভিটামিন ডি-এর ডোজ (মুখে বা ইনজেকশন) এবং ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট দেওয়া হলে হাড়ের গঠন ধীরে ধীরে ঠিক হতে থাকে।
- সাধারণত কয়েক সপ্তাহ থেকে কয়েক মাসের মধ্যে উন্নতি দেখা যায়।
- সূর্যালোক ও খাদ্য ব্যবস্থাপনা:
- প্রতিদিন ১০-১৫ মিনিট সকালের রোদ লাগালে ত্বক ভিটামিন ডি তৈরি করে।
- ক্যালসিয়াম ও ফসফেট সমৃদ্ধ খাবার (দুধ, ডিম, মাছ, শাকসবজি) নিয়মিত খেতে হবে।
- হাড়ের বিকৃতি ঠিক করা:
- মৃদু বিকৃতি (যেমন বাঁকা পা) শিশুর বয়স বাড়ার সাথে সাথে নিজে থেকেই সেরে যেতে পারে।
- তীব্র ক্ষেত্রে ফিজিওথেরাপি বা অস্থি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া লাগতে পারে।
- অন্তর্নিহিত কারণ চিকিৎসা:
- যদি কিডনি রোগ বা জিনগত সমস্যার কারণে রিকেটস হয়, তবে সেই রোগের চিকিৎসা জরুরি।
কখন সম্পূর্ণ সুস্থ হয়?
- হালকা রিকেটস: কয়েক মাসে সেরে ওঠে।
- তীব্র রিকেটস: ৬ মাস থেকে ১ বছর বা আরও বেশি সময় লাগতে পারে (বিশেষ করে যদি হাড়ের গুরুতর বিকৃতি থাকে)।
সতর্কতা:
নিয়মিত ডাক্তারের ফলো-আপ প্রয়োজন।
চিকিৎসা বন্ধ করলে বা পুষ্টির ঘাটতি আবার দেখা দিলে রিকেটস ফিরে আসতে পারে।
⚠️ যদি চিকিৎসা না করা হয়?
- হাড়ের স্থায়ী বিকৃতি হতে পারে
- উচ্চতা কমে যাওয়া
- সহজে হাড় ভেঙে যাওয়া
- দাঁতের সমস্যা
