একাই একটি দুর্গ অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তর
রচনাটির মূলভাব:
বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামালের মহান আত্মত্যাগের কথা বর্ণিত হয়েছে রচনাটিতে। পাকিস্তানি সেনাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া দখলে বাধা দিতে প্রস্তুত হন মুক্তিযোদ্ধারা। কিন্তু হানাদার বাহিনীর সৈন্যসংখ্যা ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের চেয়ে অনেক বেশি। তাদের অস্ত্রশস্ত্রও ছিল অনেক বেশি উন্নত। ফলে শত্রæদের আক্রমণের মুখে মুক্তিযোদ্ধাদের অধিনায়ক সিপাহি মোস্তফা কামাল সবাইকে পিছু হটে আত্মরক্ষার নির্দেশ দেন। আর নিজে অনবরত গুলি চালিয়ে শত্রæবাহিনীকে ঠেকিয়ে রাখেন। শত্রæর গোলার আঘাতে শেষ পর্যন্ত তিনি শহিদ হন। নিজের জীবনের বিনিময়ে এভাবে সহযোদ্ধাদের প্রাণ রক্ষা করেন তিনি। বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল আমাদের গর্ব।
বানানগুলো লক্ষ করি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া, বাহিনী, সিপাহি, মুক্তিযোদ্ধা, ভাষণ, বঙ্গবন্ধু, জরুরি, সরবরাহ, আত্মরক্ষা, গোলাবর্ষণ, নির্বিঘেœ, আক্রমণ, তীব্র, মুহূর্ত, অস্ত্রশস্ত্র, আশ্রয়, সাথি, ঝাঁঝরা, ক্ষতবিক্ষত, গৌরব, বীরশ্রেষ্ঠ, ভ‚ষিত।
১. শব্দগুলোর পাঠ থেকে খুঁজে বের করি। অর্থ বলি।
অধিনায়ক পরিখা নির্বিঘ্নে
অকুতোভয় বীরশ্রেষ্ঠ সমাহিত
উত্তর :
অধিনায়ক – দলপতি, দলনেতা।
পরিখা – শত্রর আক্রমণ থেকে বাঁচার জন্যে মাটির মধ্যে তৈরি গর্ত।
নির্বিঘ্নে – নিরাপদে, বাধাহীনভাবে।
অকুতোভয় – ভয় নেই এমন।
বীরশ্রেষ্ঠ – মুক্তিযুদ্ধের বীরত্বের জন্যে দেওয়া বিশেষ উপাধি।
সমাহিত – কবরে শায়িত।
২. ঘরের ভিতরের শব্দগুলো খালি জায়গায় বসিয়ে বাক্য তৈরি করি।
পরিখার বীরশ্রেষ্ঠ অধিনায়ক
অকুতোভয় সমাহিত নির্বিঘ্নে
উত্তর :
ক) যাত্রীরা নির্বিঘ্নে নদী পার হলো।
খ) অধিনায়ক লড়াই চালিয়ে যেতে বললেন।
গ) মোস্তফা কামাল একজন বীরশ্রেষ্ঠ ।
ঘ) সৈন্যরা পরিখার ভেতর থেকে গুলি ছুঁড়ছে।
ঙ) মোস্তফা কামালকে দরুইনে সমাহিত করা হয়।
চ) তিনি একজন অকুতোভয় মুক্তিযোদ্ধা।
৩. পাঠ অনুসরণ করে নিচের ঘটনার পাশে তারিখবাচক শব্দ লিখি।
উত্তর :
ক) পাকিস্তানি বাহিনী আখাউড়া রেললাইন ধরে এগোয় ১৬ই এপ্রিল ।
খ) দরুইন গ্রামে মুক্তিযোদ্ধাদের উপর গোলাবর্ষণ হয় ১৭ই এপ্রিল।
গ) মোস্তফা কামাল শহিদ হলেন ১৮ই এপ্রিল।
৪. আমাদের জাতীয় দিবসগুলোর পাশে তারিখবাচক শব্দ লিখি।
উত্তর :
ক) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২১শে ফেব্রæয়ারি।
খ) স্বাধীনতা দিবস ২৬শে মার্চ।
গ) বিজয় দিবস ১৬ই ডিসেম্বর।
৫. ঠিক উত্তরটি বাছাই করে বলি ও লিখি।
ক) মোস্তফা কামাল সমাহিত আছেন
১. ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২. দরুইন
৩. আখাউড়া ৪. কুমিল্লা
উত্তর : ক) ২. দরুইন
খ) এই যুদ্ধে কত জন মুক্তিযোদ্ধা নিহত হয়েছেন?
১. আট জন ২. নয় জন
৩. দশ জন ৪. এগারো জন
উত্তর : খ) ৩. দশ জন
গ) পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীরা এগিয়ে আসছিল
১. ঢাকার দিকে ২. দরুইনের দিকে
৩. ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দিকে ৪. কুমিল্লার দিকে
উত্তর : গ) ৩. ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দিকে
ঘ) ১৮ই এপ্রিল কয়টার সময়ে প্রচÐ বৃষ্টি হলো?
১. সকাল ৯টায় ২. সকাল ১১টায়
৩. দুপুর ১টায় ৪. দুপুর ২টায়
উত্তর : ঘ) ২. সকাল ১১টায়।
৬. প্রশ্নগুলোর উত্তর বলি ও লিখি।
ক) কারা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দিকে এগিয়ে আসছিল?
উত্তর : পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দিকে এগিয়ে আসছিল।
খ) মুক্তিযোদ্ধারা কোথায় অবস্থান নিয়েছিল?
উত্তর : মুক্তিযোদ্ধারা দরুইন গ্রামে অবস্থান নিয়েছিল।
গ) মুক্তিযোদ্ধাদের সামনে কোন দুটি পথ খোলা ছিল?
উত্তর : মুক্তিযোদ্ধাদের সামনে মাত্র দুটি পথই খোলা ছিল। হয় সামনাসামনি যুদ্ধ। না হয় পিছু হটে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়া।
ঘ) সঙ্গীদের জীবন বাঁচাতে মোস্তফা কামাল কী সিদ্ধান্ত নিলেন?
উত্তর : সঙ্গীদের জীবন বাঁচাতে মোস্তফা কামাল সবাইকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে নির্দেশ দিলেন। একাই অবিরাম গুলি চালিয়ে দুশমনদের ঠেকিয়ে রাখার সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি।
ঙ) একাই একটি দুর্গ কাকে বোঝানো হয়েছে? কেন?
উত্তর : ‘একাই একটি দুর্গ’ বলতে বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামালকে বোঝানো হয়েছে। সঙ্গীদের জীবন রক্ষা করতে একাই অবিরাম গুলি চালিয়ে পাক বাহিনীকে ঠেকিয়ে রাখেন তিনি। তাঁর গুলির তোড়ে শত্রুরা এগোতে পারল না। তিনি যেন একাই মুক্তিবাহিনীর একটি দুর্গ হয়ে উঠেছিলেন।
৭. বিপরীত শব্দ জেনে নিই। ফাঁকা ঘরে ঠিক শব্দ বসিয়ে বাক্য তৈরি করি।
জীবন মৃত্যু শত্রু মিত্র কম অনেক হালকা ভারি বন্ধ খোলা
উত্তর :
ক) আমাদের দেশে অনেক নদী আছে।
খ) মুক্তিযুদ্ধে অনেকেই জীবন দিয়েছিলেন।
গ) পাকিস্তানি সেনাদের সাথে ছিল ভারি অস্ত্রশস্ত্র।
ঘ) শত্রু বাহিনী গোলাবর্ষণ শুরু করল।
ঙ) শুক্রবারে আমাদের স্কুল বন্ধ থাকে।
৮. বাক্যগুলো পড়ি। হাঁ বোঝানো এবং না বোঝানো বাক্য সম্পর্কে জেনে নিই।
ওদের মোকাবেলা করা যাবে। হাঁ বোঝানো
ওদের মোকাবেলা করা যাবে না। না বোঝানো
এবার নিচের বাক্যগুলোকে হাঁ বোঝানো/না বোঝানো বাক্যে পরিবর্তন করি।
সকালে গোলাবর্ষণ শুরু হলো।
উত্তর : সকালে গোলাবর্ষণ শুরু হলো না। [না বোঝানো]
শত্রুরা এগুতে পারল না।
উত্তর : শত্রুরা এগুতে পারল। [হাঁ বোঝানো]
মুক্তিযোদ্ধারা পিছু হটবে।
উত্তর : মুক্তিযোদ্ধারা পিছু হটবে না। [না বোঝানো]