চল্ চল্ চল অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তর
কবিতাটির মূলভাব:
তরুণদের মধ্যে অসীম সম্ভাবনা লুকিয়ে আছে। তারাই দেশের মূল প্রাণশক্তি। তারুণ্যের শক্তিতে তারা সব অন্ধকারের বাধা ডিঙিয়ে আলোকিত দিন আনবে। তাদের স্পর্শে সবকিছু সজীব হয়ে উঠবে।
১. শব্দগুলো পাঠ থেকে খুঁজে বের করি। অর্থ বলি।
ঊর্ধ্ব গগন মাদল নিম্নে উতলা ধরণী
অরুণ প্রাতে উষা প্রভাত টুটাব তিমির
বিন্ধ্যাচল নবীন সজীব শ্মশান
উত্তর :
ঊর্ধ্ব উপরের দিক।
গগন আকাশ।
মাদল ঢোলের মতো বাদ্যযন্ত্র।
নিম্নে নিচে।
উতলা ব্যাকুল। অস্থির।
ধরণী পৃথিবী।
অরুণ সকালের সূর্য।
প্রাতে সকালে।
উষা ভোরবেলা।
প্রভাত সকাল।
টুটাব ভাঙব। দূর করব।
তিমির অন্ধকার।
বিন্ধ্যাচল বিন্ধ্যা পর্বত।
নবীন নতুন।
সজীব সতেজ। জীবন্ত।
শ্মশান মৃতদেহ পোড়ানোর স্থান।
২. ঘরের ভিতরের শব্দগুলো খালি জায়গায় বসিয়ে বাক্য তৈরি করি।
নবীনদের ধরণী প্রভাতে উতলা
বিন্ধ্যাচল মাদল সজীব
উত্তর :
ক) তিনি প্রভাতে বই পড়েন।
খ) সাঁওতালরা নাচের সময় মাদল বাজায়।
গ) আমরা নবীনদের বরণ করি।
ঘ) তরুণটি সব সময় সজীব ।
ঙ) ধরণী খুবই সুন্দর।
চ) মা সন্তানের জন্য উতলা হয়েছেন।
ছ) বিন্ধ্যাচল একটি পর্বতের নাম।
৩. যুক্তবর্ণগুলো চিনে নিই। যুক্তবর্ণ দিয়ে তৈরি করা নতুন শব্দ পড়ি।
ঊর্ধ্ব (ব-রেফ)
নিম্নে
বিন্ধ্যাচল (য-ফলা) অন্ধ, বন্ধ
মহাশ্মশান ( ¥-ফলা) রশ্মি
৪. ঠিক উত্তরটি বাছাই করে বলি ও লিখি।
ক) মাদল বাজে কোথায়?
১. ঊর্ধ্ব গগনে ২. ধরণীতলে
৩. উষার দুয়ারে ৪. মহাশ্মশানে
উত্তর : ক) ১. ঊর্ধ্ব গগনে
খ) অরুণ প্রাতের দলে কারা আছে?
১. শিশুরা ২. কিশোরেরা
৩. তরুণেরা ৪. প্রবীণেরা
উত্তর : খ) ৩. তরুণেরা।
৫. কথাগুলো বুঝে নিই এবং লিখি।
ক) আমরা টুটাব তিমির রাত
বাধার বিন্ধ্যাচল।
তরুণেরা সজীব প্রাণের অধিকারী। তারা সব সময় অন্ধকার দূর করতে চায়। তারা এজন্য সব বাধা ডিঙিয়ে যাবে।
খ) নব নবীনের গাহিয়া গান
সজীব করিব মহাশ্মশান
মহাশ্মশানে প্রাণের আনন্দ নেই। কিন্তু তরুণেরা নতুনের গান গেয়ে মহাশ্মশানকেও সজীব করে তুলবে।
৬. মুখে মুখে উত্তর বলি ও লিখি।
ক) সারি বেঁধে কারা চলেছে?
উত্তর : তরুণেরা সারি বেঁধে চলেছে।
খ) কারা তিমির দূর করবে?
উত্তর : তরুণেরা তিমির দূর করবে।
গ) বিন্ধ্যাচল কী?
উত্তর : বিন্ধ্যাচল একটি পর্বতের নাম।
৭. আগের চরণটি বলি ও লিখি।
ক)
নিম্নে উতলা ধরণীতল
খ)
আমরা আনিব রাঙা প্রভাত
গ)
সজীব করিব মহাশ্মশান
উত্তর : ক) ঊর্ধ্ব গগনে বাজে মাদল
নিম্নে উতলা ধরণীতল
খ) উষার দুয়ারে হানি আঘাত
আমরা আনিব রাঙা প্রভাত
গ) নব নবীনের গাহিয়া গান
সজীব করিব মহাশ্মশান
৮. একই অর্থের শব্দ জেনে নিই।
গগন – আকাশ, আসমান, নভ।
ধরণী – পৃথিবী, অবনী, জগৎ।
৯. তালে তালে পা ফেলে আমরা কবিতাটি আবৃত্তি করি।
উত্তর : সহপাঠীরা একসঙ্গে মিলে চেষ্টা কর।
১০. কবিতাটি লিখি।
উত্তর : পাঠ্য বই থেকে কবির নামসহ কবিতাটি মুখস্থ করে খাতায় লেখ।
১১. সবাই মিলে কবিতাটি সুর করে গাই।
উত্তর : সহপাঠীরা একসঙ্গে মিলে চেষ্টা কর।