You are currently viewing ৩য় শ্রেণির বাংলা “তালগাছ অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তর”

৩য় শ্রেণির বাংলা “তালগাছ অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তর”

  • Post author:
  • Post last modified:August 6, 2025
  • Post category:Blog

বাংলা তালগাছ অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তর

কবিতাটির মূলভাব:
তালগাছের মনের ইচ্ছা নিয়ে কবিমনের কল্পনার কথা বলা হয়েছে ‘তালগাছ’ কবিতায়। তালগাছকে দেখলে মনে হয় সে যেন এক পায়ে ভর করে দাঁড়িয়ে আছে। কবি ভাবেন তালগাছ বুঝি আকাশে উড়াল দিতে চায়। কিন্তু তার তো আর পাখির মতো ডানা নেই। তাই নিজের পাতাগুলোকেই ডানা হিসেবে ভেবে নেয় সে। বাতাস বইলে ডানাগুলো মেলে সে যেন আকাশে উড়ে বেড়ায়। বাতাস থেমে গেলে তালগাছের মনের ইচ্ছার পরিবর্তন হয়। তখন পৃথিবীর পরিচিত কোণটিকেই তার ভালো লাগে।
 বানানগুলো লক্ষ করি
উঁকি, ফুঁড়ে, ইচ্ছা, কাঁপা, ঝরঝর, পৃথিবী, কোণ।

১. শব্দগুলো পাঠ থেকে খুঁজে বের করি। অর্থ বলি।
সাধ থত্থর
উত্তর :
সাধ – ইচ্ছা।
থত্থর – থর থর।

২. ঘরের ভিতরের শব্দগুলো খালি জায়গায় বসিয়ে বাক্য তৈরি করি।
থত্থর সাধ
উত্তর : ক) দীপুর পাখির মতো ওড়ার সাধ হয়েছে।
খ) শীলা শীতে থত্থর করে কাঁপছে।

৩. কথাগুলো বুঝে নিই।
পত্তর – পাতা।
ফেরে – ফিরে আসে।
ফেরে তার মনটি – তার ইচ্ছে বদলে যায়।
আরবার – আরেকবার।

৪. ডান দিক থেকে ঠিক শব্দটি বেছে নিয়ে খালি জায়গায় বসাই।
ক) তালগাছ এক পায়ে দাঁড়িয়ে
সব গাছ ……….।
খ) তারপরে হাওয়া যেই নেমে যায়
………. ………. থেমে যায়।
গ) যেই ভাবে, মা যে হয় মাটি তার
ভালো লাগে ……….
………. কোণটি।
উত্তর :
ক) তালগাছ এক পায়ে দাঁড়িয়ে
সব গাছ ছাড়িয়ে ।
খ) তারপরে হাওয়া যেই নেমে যায়
পাতা কাঁপা থেমে যায়।
গ) যেই ভাবে, মা যে হয় মাটি তার
ভালো লাগে আরবার
পৃথিবীর কোণটি।

৫. ঠিক উত্তরটি বাছাই করে বলি ও লিখি।
ক) তালগাছ মনে মনে কাকে মা বলে ভাবে?
১. মেঘকে ২. আকাশকে
৩. মাটিকে ৪. পৃথিবীকে
উত্তর : ক) ৩. মাটিকে

খ) তালগাছের মনে কী ইচ্ছে জাগে?
১. সব গাছের চেয়ে উঁচু হবে
২. পাতায় ভর করে ভাসবে
৩. আকাশে উঁকি মেরে দেখবে
৪. কালো মেঘ ফুঁড়ে উড়ে যাবে
উত্তর : খ) ৪. কালো মেঘ ফুঁড়ে উড়ে যাবে

গ) তালগাছের ইচ্ছে কখন বদলায়?
১. মায়ের কথা মনে হলে
২. দিন শেষ হলে
৩. বাতাস থেমে গেলে
৪. বেড়ানো শেষ হলে
উত্তর : গ) ৩. বাতাস থেমে গেলে।

৬. মুখে মুখে উত্তর বলি ও লিখি।
ক) তালগাছকে দেখে কী মনে হয়?
উত্তর : তালগাছকে দেখে মনে হয় সে যেন এক পায়ে দাঁড়িয়ে আছে। যেন অন্য সব গাছ ছাড়িয়ে আকাশে উঁকি মারে সে।
খ) ‘মনে সাধ কালো মেঘ ফুঁড়ে যায়’ কথাটির অর্থ কী?
উত্তর : ‘মনে সাধ কালো মেঘ ফুঁড়ে যায়’ কথাটির অর্থ হলো আকাশের কালো মেঘ ভেদ করে উড়ে যাওয়ার ইচ্ছা। তালগাছের মনে এই ইচ্ছাটি জাগে।
গ) তালগাছ কীভাবে তার ইচ্ছেকে ছড়িয়ে দেয়?
উত্তর : হাওয়া বইলে তালগাছের পাতা থরথর করে কাঁপে। তালগাছ মনে মনে ভাবে এই পাতাগুলোই বুঝি তার ডানা। সেই ডানায় ভর করেই আকাশে উড়ে বেড়াবার কথা ভাবে সে। এভাবেই তালগাছ তার গোল গোল পাতাতে নিজের ইচ্ছেকে ছড়িয়ে দেয়।
ঘ) তালগাছ পাখা চায় কেন?
উত্তর : তালগাছের মনে পাখির মতো পাখা মেলে আকাশের কালো মেঘ ফুঁড়ে একেবারে উড়ে যাওয়ার সাধ জাগে। এ জন্যই সে পাখা চায়।

৭. গাছের যত্ন নেওয়া সম্পর্কে তিনটি বাক্য মুখে মুখে বলি ও লিখি।
উত্তর : গাছের যত্ন সম্পর্কে তিনটি বাক্য :
১) আমরা নিয়মিত গাছে পানি দেব।
২) গাছের চারপাশের আগাছা পরিষ্কার করব।
৩) অকারণে গাছের পাতা, ফুল, ফল ছিঁড়ব না এবং ডাল ভাঙব না।

৮. নিচের শব্দগুলো দিয়ে বাক্য তৈরি করি।
উত্তর :
পৃথিবী পৃথিবী দেখতে কমলালেবুর মতো।

সাধ খোকার পৃথিবীটা ঘুরে দেখার সাধ জাগে।

মনে মনে আমি মনে মনে সৃষ্টিকর্তাকে ডাকছি।

ডানা পাখিরা ডানা মেলে উড়ে বেড়ায়।

মাটি ভালো ফসলের জন্য দরকার উর্বর মাটি।

৯. ‘তালগাছ’ কবিতার প্রথম বারো লাইন মুখস্থ লিখি।
উত্তর : পাঠ্য বই থেকে কবির নামসহ ‘তালগাছ’ কবিতার প্রথম বারো লাইন মুখস্থ কর। এরপর খাতায় লেখ।

১০. কবিতাটি আবৃত্তি করি।
উত্তর : পাঠ্য বই থেকে কবির নামসহ কবিতাটি মুখস্থ করে নাও। এরপর শিক্ষক বা সহপাঠীর সাহায্য নিয়ে আবৃত্তি কর।

১১. ছবি দেখি এবং ইচ্ছেমতো বাক্য লিখি।
উত্তর : তালগাছ খোকার খুব প্রিয়। গাছগুলোকে দেখলেই মনে হয় ওরা যেন এক পায়ে ভর করে দাঁড়িয়ে আছে। আর থেকে থেকে আকাশে উঁকি মারছে। খোকার খুব ইচ্ছে হয় লম্বা তালগাছটার মাথায় চড়তে। ও ভাবে, ওর যদি পাখির মতো ডানা থাকত, তাহলে উড়ে গিয়ে বসত তালগাছের এক্কেবারে মগডালে। অত উঁচু থেকে নিচের সবকিছু দেখতে কেমন অন্য রকম লাগত, তা-ই কল্পনা করে খোকা।